National news জাতীয় সংবাদ

অনেকেই নেতিবাচক কথা বললেও সামনে ইতিবাচক দেখতে পাচ্ছি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অনেকেই অনেক নেতিবাচক কথা বলছেন। আমরা কিন্তু খুব ইতিবাচক দেখতে পাচ্ছি সামনে। বাংলাদেশের মানুষ তর্ক করছে, বিতর্ক করছে, আলোচনা করছে এবং তার মধ্য দিয়ে তারা একটা জায়গায় এসে পৌঁছাচ্ছে এবং আমি বিশ্বাস করি, আমরা এই আলোচনার মধ্য দিয়েই, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়েই সেই জায়গায় পৌঁছাব।

রোববার বিকেলে রাজধানী গুলশানের রেনেসাঁস হোটেলে ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, (এফএসডিএস) আয়োজিত ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, একটা ব্যাপারে আমরা সবাই একমত, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার ব্যাপারে বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছে। এ ব্যাপারে আমরা একমত।

তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে কিছুটা বিভেদ-বিভাজন নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তাদের মত-পথ নিয়ে কিছুটা মতপার্থক্য থাকতেই পারে, যেটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের মানুষ সবসময় প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, প্রতিটি ক্রান্তিকালে, প্রতিটি সঙ্কটে, বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারা দেশের নিরাপত্তা রক্ষা করেছে, দেশকে রক্ষা করেছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, তিতুমীরের সময় থেকে শুরু করে ২৪ পর্যন্ত প্রতিটি সময় বাংলাদেশের মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের প্রত্যেকটি জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার জন্য। ভাষা আন্দোলন বলেন, ৬৯ -এর গণঅভুত্থান বলেন, ৭০ -এর নির্বাচন বলেন, ৭১ মুক্তিযুদ্ধ বলেন, সর্বক্ষেত্রে মানুষ এক হয়ে লড়াই করেছে তাদের নিজের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার জন্য।

তিনি বলেন, জনগণকে ক্ষমতায়িত করতে হবে, জনগণের সার্বভৌমত্বকে নিশ্চিত করতে হবে। যদি আমরা সেটা করতে পারি তাহলে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। আমাদের অন্যান্য বিষয়গুলো অত্যন্ত সহজ হয়ে আসবে। আমরা এখনো গণতন্ত্র চর্চা করতে পারিনি ঠিকমতো। আমরা গণতন্ত্রকে চর্চা করতে গিয়ে প্রতি পদে পদে বাধা পেয়েছি।

তিনি বলেন, অনেকেই অনেকে নেতিবাচক কথা বলছেন। আমরা কিন্তু খুব ইতিবাচক দেখতে পাচ্ছি সামনে। বাংলাদেশের মানুষ তর্ক করছে, বিতর্ক করছে, আলোচনা করছে এবং তার মধ্য দিয়ে তারা একটা জায়গায় এসে পৌঁছাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা এই আলোচনার মধ্য দিয়েই, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়েই সেই জায়গাটা পৌঁছাব। যেখান থেকে আমরা সত্যিকার অর্থেই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্মাণ করবার জন্য একটা সঠিক পথ খুঁজে বের করতে পারব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউশনগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।

তিনি বলেন, ১৬ সালে আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলেছি। ২৩ সালে ৩১ দফার কথা বলেছি। যেখানে আমরা পুরো রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলেছি। কোথায় প্রবলেমগুলো হচ্ছে? আমি বুঝতে পারি না। আমাদের চিন্তা ভাবনার মধ্যে এই জায়গাটাতে এক হওয়া দরকার। গণতন্ত্র বিশ্বাস করি, আমাদের তো বিভিন্ন মত থাকবেই। সে মতগুলোকে আমরা এক জায়গায় নিয়ে এসে গণতন্ত্রে ফিরে যাব, জনগণের ক্ষমতায়ন করব, জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দেব। জনগণ ভোট প্রদানের মধ্য দিয়ে তার সেই মতকে প্রতিষ্ঠিত করবে এবং সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে।

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *